ঢাকায় “পার্বত্য চট্টগ্রাম : বন-পাহাড়ের সাত-সতের” গ্রন্থের মোড়ক উম্মোচন
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাস-ঐতিহ্য, কৃষ্টি-সংস্কৃতি, আচার-বিশ্বাস, উন্নয়ন-অগ্রগতি, শান্তিচুক্তিসহ নানা বিষয় সম্বলিত “পার্বত্য চট্টগ্রাম : বন-পাহাড়ের সাত-সতের” নামে একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এর পৃষ্ঠপোষকতায় মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা গ্রন্থটির সংকলন ও সম্পাদনা করেছেন।
আজ অফিসার্স ক্লাবের তৃতীয় তলায় গ্রন্থটির মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠিত হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী গ্রন্থটির মোড়ক উম্মোচন করেন। প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবদুস সোবহান সিকদার, সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মাসুদ আহমেদ, সাবেক সচিব মো. সাখাওয়াত হোসেন ও মহিউদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা এবং স্বাগত সংগীত পরিবেশন করেন সংগীত শিল্পী অনামিকা ত্রিপুরা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, গ্রন্থটি পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজম্মের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ গ্রন্থ থেকে পাঠক পার্বত্য এলাকার রাজনীতি, অর্থনীতি, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধসহ নানা বিষয়ে জানতে পারবেন। দীর্ঘ দু’যুগের সশস্ত্র সংগ্রামের অবসানে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আর উন্নয়ন ও অগ্রগতির মেলবন্ধন তৈরীতে যে অসামান্য অবদান রেখেছে-তার ইতিবৃত্ত পাঠকগণ সবিশেষ জানতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, বর্তমান সরকার পার্বত্য শান্তি চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ । ইতোমধ্যে এ চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ৪৮টি পরিপূর্ণ, ১৫টির আংশিক এবং ৯টির বান্তবায়ন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।