Wellcome to National Portal
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৩rd জুন ২০১৬

পার্বত্য চট্টগ্রামে কৃষিপণ্য উৎপাদন বিষয়ক গবেষণার ফলাফল অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত


প্রকাশন তারিখ : 2016-06-23

 

ঢাকা, ২২.০৬.২০১৬

আজ ঢাকায় ব্র্যাক সেন্টারে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে ‘‘পার্বত্য চট্টগ্রামে কৃষিপণ্য উৎপাদন’’ বিষয়ক গবেষণার ফলাফল অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন-এর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এবং  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা ও  রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডঃ প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা, মূখ্য গবেষক অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ডঃ আবুল বারাকত, আলোচক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর মেসবাহ কামাল ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ডঃ নিয়াজ আহমেদ খান।  

অনুষ্ঠানে বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শামিত্ম চুক্তির পূর্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছিল অশামত্ম ও সংঘাতময় এলাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও যোগ্য নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক শামিত্ম চুক্তির পর অশামত্ম পার্বত্য চট্টগ্রামে শামিত্মর পরিবেশ ও বহুপ্রতিক্ষীত উন্নয়নের অগ্রযাত্রা সূচিত হয় । শামিত্ম চুক্তির পর পশ্চাদপদ ও পিছিয়ে থাকা পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন কার্যক্রম বেগবান হয়।

 তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় প্রামিত্মক কৃষক ও কৃষি ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের কৃষি ও জুমিয়া পরিবারের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। কৃষির উপর নির্ভরশীল পার্বত্যবাসীর উন্নয়নের জন্য ফলজ ও বনজ বাগান সৃজন, ফলজ ও বনজ চারা বিতরণসহ উৎপাদমুখী কৃষি ব্যবস্থার সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে জুমিয়া পূণর্বাসন, উচ্চভূমি বন্ধোবসত্মকরণ, কমলা বাগান, রাবার বাগান সৃজন ইত্যাদি প্রকল্প বাসত্মবায়ন করছে। এছাড়া, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহায়তায় ইক্ষু চাষ, তুলা ও রেশম বাগান সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রকল্প বাসত্মবায়নাধীন আছে। সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে দরিদ্র ও প্রামিত্মক কৃষকদের জন্য মিশ্র্ ফল বাগান প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ফলশ্রূতিতে, পার্বত্য চট্টগ্রামের কৃষি ব্যবস্থায় যুগামত্মকারী পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। এই বিষয়ে উলেস্নখ্য যে, গত ৪/৫ বছর হতে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিপুল ও ভাল মানের আম, লিচু আনারসসহ অন্যান্য ফলমুল উৎপাদিত হচ্ছে। এই সকল উৎপাদিত সুস্বাদু ফলমুল সমতল এলাকার মানুষের চাহিদা মিটাতেও সক্ষম হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘পার্বত্য চট্টগ্রামে কৃষিপণ্য উৎপাদন’’ বিষয়ক গবেষণাটি একটি অত্যন্ত সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্ভাবনাময় বিভিন্ন কৃষিপণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি, মান উন্নয়ন ও বাজারজাতকরণ বিষয়ে ভবিষ্যত কর্মসূচী নির্ধারণের জন্য সঠিক দিক নির্দেশনা পাওয়া যাবে। যা পার্বত্য এলাকার কৃষি কাজের সাথে জড়িত প্রামিত্মক মানুষ বিশেষ করে জুম চাষের সাথে নির্ভরশীল দরিদ্র মানুষের আয় বৃদ্ধি এবং এলাকার মানুষের দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।