ঢাকা, ২৬ জুলাই ২০১৭
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসনিার নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তি চুক্তির মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নের ধারা সূচিত হয় এবং পিছিয়ে পড়া ও পশ্চাদপদ পাহাড়ী জনগণ তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণের সুযোগ পায়। এ চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
সম্মেলনে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা প্রশাসকের এক মতামতের ভিত্তিতে প্রতিমন্ত্রী সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড়ধ্বসে প্রাণহানির ঘটনায় শোক জানিয়ে বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে বিদ্যমান ভূমি ব্যবস্থা এবং শান্তি চুক্তির পূর্বে দু’যুগ ব্যাপী সংঘাতের সময় সৃষ্ট জনগণের অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতির কারণে সেখানে ভূমির মালকানা জনিত বিরোধ রয়েছে। এ অঞ্চলের ভূমি সমস্যা নিরসনের লক্ষে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন ২০০১ সংশোধন করা হয়েছে এবং এ সংক্রান্ত সমস্যা নিরসনে কমিশন নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় যাতে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদসমূহ পার্বত্য জেলা পরিষদসমূহের সাথে সার্বিক সমন্বয়ের মাধ্যমে অধিকতর কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে সেজন্য তিনি স্থানীয় সরকার, উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সম্মেলনে মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: কামাল উদ্দিন তালুকদার বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার হাট-বাজার ব্যবস্থাপনা ভিন্নতর আইন বাজার ফান্ড ম্যানুয়েল, ১৯৩৭ দ্বারা পরিচালিত। এ আইনে অন্য কোন সংস্থাকে আয়ের অংশ প্রদানের বিধান নেই। তাছাড়া, বাজার ফান্ড সম্পূর্ণরুপে তার নিজস্ব আয় দ্বারা পরিচালিত হয়; সরকার হতে কোন অনুদান পায়না। কাজেই বাজার ফান্ড ব্যবস্থাপনা হতে প্রাপ্ত আয়ের ১% উপজেলা পরিষদ ও ১% ইউনিয়ন পরিষদের অনুকূলে প্রদানের সুযোগ আপাতত নেই।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেন এবং বিশেষ অতিথি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো: মশিউর রহমান রাঙ্গা। সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকগণ উপস্থিত ছিলেন ।