রোয়াংছড়িতে সড়ক নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন করেন পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি।
পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি বলেছেন,সড়কটি নির্মিত হলে পর্যটন সম্ভাবনাময় রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলার সাথে একটি সেতু বন্ধন রচিত হবে। গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন হলে প্রতিটি এলাকার মানুষের আত্মসামাজিক উন্নয়ন ঘটবে। পর্যটন শিল্প এবং দুইটি উপজেলায় বসবাসরত পাহাড়ী বাঙ্গালী সকলের আত্মসামাজিক উন্নয়ন সাধিত হবে।মন্ত্রী আরোও বলেন,রুমা-রোয়াংছড়ি সড়কটি নির্মাণ হয়ে গেলে অর্থনৈতিক ভাবে স্বচ্ছল হতে পারেন। কারণ উৎপাদিত পণ্যগুলো ক্রয়-বিক্রয় করতে সুবিধা হবে। কৃষকরা ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি করতে পারবে। শুধু তা নয় নিজ ঘরে থেকে রোয়াংছড়ি উপজেলা বাসী উচ্চ শিক্ষা সুবিধা যাতে পায়। সে দিকে লক্ষে রেখে স্কুল ও কলেজ স্থাপন করে দিয়েছে সরকার। চলতি মাসে বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়টি উদ্বোধন করা হবে।
তিনি বলেন,বান্দরবান জেলা সদর থেকে প্রতিটা উপজেলা সদরে যাওয়ার রাস্তা ইতোমধ্যে অনেকাংশ সমাপ্ত হয়েছে।এখন একটি উপজেলার সাথে অন্য আরেকটি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে প্রতিটা এলাকার মানুষের আত্মসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে বলে মন্তব্যে করেন পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি। শুক্রবার সকালে রোয়াংছড়ি উপজেলা সদর থেকে রুমা উপজেলা পর্যন্ত পল্লী সড়ক নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন কালে পার্বত্য মন্ত্রী এসব কথা বলেন।পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নে ৪৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে রোয়াংছড়ি উপজেলা সদর থেকে রুমা উপজেলা পর্যন্ত ২২ কিঃমিঃ দৈর্ঘ্য পল্লী সড়ক নির্মাণ কাজ করেন।
এদিকে উদ্ধোধনী অনুষ্টানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল কালাম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কারুজ্জামান,পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ,পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক মোঃ আবদুল আজিজ,নির্বাহী প্রকৌশলী ইয়াছির আরাফাত,পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য কাঞ্চনজয় তঞ্চঙ্গ্যা,সদস্য ¤্রাসা খেয়াং,সদস্য তিংতিং ম্যা মারমা,রোয়াংছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যবামং মারমাসহ স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন