ভিশন:
শান্তিপূর্ন ও সমৃদ্ধ পার্বত্য চট্টগ্রাম
মিশন:
কল্যাণমুখী কর্মসূচী বাস্তবায়নের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বসবাসকারী জনগনের রাজনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষাগত ও অর্থনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করা
পটভূমি:
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশের এক দশমাংশ আয়তন জুড়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল। রাংগামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান তিনটি জেলা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল গঠিত। এ তিনটি জেলার মোট আয়তন ১৩,২৯৫ বর্গ কিলোমিটার। ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী এ অঞ্চলের মোট জনসংখ্যা ১৫,৮৭,০০০ জন।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও জাতিসত্তা সমূহের অধিবাসীদের মধ্যে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চংগ্যা, ম্রো, লুসাই, বোম, পাংখো, খুমি, চাক, খেয়াং প্রভৃতি উপজাতি রয়েছে। অ-উপজাতীয়দের মধ্যে ৪৮ ভাগ মুসলমান এবং বাকীরা হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী। এসব ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও ক্ষুদ্র জাতিস্বত্তা ও অ-উপজাতীয় জনগোষ্ঠী তাদের নিজ নিজ ভাষা, সাংস্কৃতি, ধর্ম, ঐতিহ্য ও কৃষ্টির ¯¦কীয়তা বজায় রেখে যুগ যুগ ধরে একে অপরের পাশাপাশি বসবাস করে আসছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলটি ১৮৬০ সালে একটি স্বতন্ত্র জেলার মর্যাদার লাভ করে। পরবর্তীতে এ অঞ্চলকে তিনটি জেলায় রূপান্তরিত করা হয়। বর্তমানে তিনটি পার্বত্য জেলায় মোট ৭টি পৌরসভা এবং ২৬ টি উপজেলা আছে।পাহাড়, বন, নদী, ঝর্ণা-এ অঞ্চলকে ¯বতন্ত্র ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য দান করেছে। এ অঞ্চলের নৃতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব অপরিসীম। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল এবং এ অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির জন্য অবকাঠামোসহ অন্যান্য খাতসমূহে সুষম উন্নয়নের লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।